ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে আয়ের নতুন ৫ উপায় - Cyber Tech

Breaking

সাইবার টেক ওয়েব পেইজে আপনাকে স্বাগতম।নিত্য-নতুন কিছু শেখার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।আর যেকোন কাজ শেখার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।নিত্য নতুন এই দুনিয়াতে আমরা কেউ পিছিয়ে নই।আপনি ও পারবেন ঘরে বসে যেকোন কাজ করেতে।প্রযুক্তি ছোয়া লেগে থাকুক সবার ঘরে ঘরে।

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, October 18, 2019

ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে আয়ের নতুন ৫ উপায়

ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজের একটি বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতের উদ্যোক্তারা ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছেন। এ খাত থেকেও অর্থ আয়ের নতুন নতুন উপায় নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা।
এন্টারপ্রেনার ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান দুনিয়ায় ফ্রিল্যান্সিংকেও পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। এখানে প্রকল্প ভিত্তিতে একের পর এক কাজের সুযোগ থাকে। যেকোনো জায়গায় বসে বিশ্বের যেকোনো কাজ করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারের কাজের ওপর ছড়ি ঘোরানোর কেউ থাকে না বলে প্রতি বছর এখাতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এডেলম্যান ইনটেলিজেন্স নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেছেন। এ হিসাব ধরলে দেশটির ৩৬ শতাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছ, তাদের হিসাব অনুযায়ী ২০২৭ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ কর্মী ফ্রিল্যান্সিং কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন। বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকেই কাজ করছেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার আগ্রহ বাড়তে থাকায় অনেক উদ্যোক্তা এই কমিউনিটি নিজে কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যাঁরা ফ্রিল্যান্সারদের বাজার লক্ষ্য করে সেবা বাড়াতে চান তারা এখাত থেকেও অর্থ আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার থেকে অর্থ আয়ের ৫টি উপায়:
ফ্রিল্যান্সারদের কাজ খোঁজার সুবিধা: অনেক সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজ খুঁজে পান না। তাঁদের কাজ পেতে চেষ্টা করতে করতে হতাশ হতে পারেন। তাদের লক্ষ্য করে যদি সেবা আনা যায় তবে সেখান থেকে অর্থ আয় হতে পারে। যেমন তারকাদের অনেক সময় এজেন্টের প্রয়োজন পড়ে তেমনি ফ্রিল্যান্সারদের কাজ খুঁজে দেওয়ার জন্যও সেবার প্রয়োজন পড়ে। অনেক সময় ফ্রিল্যান্সারদের হাতে এত কাজ থাকে যে তারা আর সেবা বাড়াতে পারেন না। তখন তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে সেবা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এখাতে যারা নতুন তাদের জন্য কাজ খুঁজে পাওয়া কঠিন। উদ্যোক্তারা চাইলে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দিয়ে নিজে তা থেকে অর্থ আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে কাজদাতার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া বা নিজস্ব ব্যবসা এভাবে বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সার ব্যবস্থাপনা: ফ্রিল্যান্সারদের এজেন্ট হওয়ার বিষয়টি ব্যবস্থাপনার কাজের একটি অংশ হতে। ফ্রিল্যান্সারদের কাজের খোঁজ দিয়ে বা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে তাদের যুক্ত করার পর সেগুলো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। যাঁদের স্থায়ী ক্লায়েন্ট বা ক্রেতা তৈরি হয় তাঁদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে ব্যবসা বাড়াতে হয়। এ ক্ষেত্রে নিজে কাজের পাশাপাশি ব্যবস্থাপক হিসেবেও বড় হওয়ার সুযোগ থাকে। কারও হাতে যদি কোনো শিল্পী ফ্রিল্যান্সার থাকে তবে তাদের কাজগুলো বিক্রি করে দেওয়া, তাদের অর্থ দেখাশোনা করা, তাদের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেওয়ার মতো ব্যবস্থাপনার কাজ করেও আপনি অর্থ আয় করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক হিসেবে ক্লায়েন্টের আস্থা অর্জন করাটা জরুরি।
ফ্রিল্যান্সারদের জীবনবৃত্তান্ত ও কভার লেটারে সাহায্য করা: অনেক সময় কাজের জন্য তৈরি কভার লেটার ও সঠিক জীবনবৃত্তান্তের কারণে কাজ পান না নতুন কোনো ফ্রিল্যান্সার। যাঁদের লেখার দক্ষতা ভালো এবং দুর্দান্ত সিভি লিখতে পারেন তখন ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটিতে আপনি উদ্যোক্তা হিসেবে ভালো করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সারদের ভালো জীবনবৃত্তান্তের ওপর অনেক কাজ নির্ভর করে। এ কাজে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ফ্রিল্যান্সারদের কাছে আপনি ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা হিসেবে অর্থ আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা উন্নয়ন: অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন যাঁরা এখাতে নতুন এবং খুব বেশি দক্ষতা নিয়ে মাঠে নামেননি। তাঁদের জন্য প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা শক্ত। তাই তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আপনি এ সুযোগ নিতে পারেন। নিজের দক্ষতা থাকলে আপনি তা অন্যদের শেখাতে পারেন। গ্রাফিকস ডিজাইন, সফটওয়্যার প্রকৌশল, লেখালেখির মতো নানা বিষয়ে আপনি প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিল্যান্সিং খাতে কাজ করছেন তাঁরা দক্ষতা উন্নয়নের জন্য অন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
পেশাগত পরামর্শ: ফ্রিল্যান্সিং খাতে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। যাঁরা এখাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তাদের পরামর্শ নতুনদের জন্য কাজে লাগবে। আপনি চাইলে আপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যেতে পারেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক গ্রুপ বা ব্লগ তৈরি করে আপনি পেশাগত পরামর্শ বিনিময় করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অনেকেই সফল হয়েছেন। যেহেতু এ খাতটি বড় হচ্ছে আপনিও এখাতে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজের একটি বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতের উদ্যোক্তারা ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছেন। এ খাত থেকেও অর্থ আয়ের নতুন নতুন উপায় নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা।
এন্টারপ্রেনার ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান দুনিয়ায় ফ্রিল্যান্সিংকেও পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। এখানে প্রকল্প ভিত্তিতে একের পর এক কাজের সুযোগ থাকে। যেকোনো জায়গায় বসে বিশ্বের যেকোনো কাজ করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারের কাজের ওপর ছড়ি ঘোরানোর কেউ থাকে না বলে প্রতি বছর এখাতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এডেলম্যান ইনটেলিজেন্স নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেছেন। এ হিসাব ধরলে দেশটির ৩৬ শতাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছ, তাদের হিসাব অনুযায়ী ২০২৭ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ কর্মী ফ্রিল্যান্সিং কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন। বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকেই কাজ করছেন।

উৎস prothom alo


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad